একটা সময় ছিল যখন ছোট ছেলে মেয়েরা তাদের দাদা-দাদী, নানা-নানি, মামা, চাচা, ফুফু, খালাদের কাছে গল্প শোনার জন্য ভীড় জমাতো। ছুটির দিনে সন্ধ্যে নামলেই জমে উঠতো গল্পের আসর গুলো।
গল্প শুনতে কার না ভাল লাগে? আর সে গল্প গুলো যদি হয় ঈমান জাগানিয়া তাহলে কথায় নেই।
শিশুমনে আপনি যা বপন করবেন তাই পরবর্তীতে তার জীবন-কর্মে প্রতিফলিত হবে।এখনকার যুগের শিশুরা তো হাতের কাছেই পেয়ে যাচ্ছে উন্নত প্রযুক্তির ছোয়া। আর বর্তমান বাবা-মায়েরা তাই চান, যেন তাদের ছেলে মেয়েরা আধুনিক হয়ে বড় হয়। যার ফলে এগুলোর মধ্যেই তারা তাদের শিক্ষা ও বিনোদন খুঁজে নিচ্ছে। রক্তের সম্পর্ক গুলো হয়ে যাচ্ছে কৃত্রিম।
হয়ে যাচ্ছে সবাই অনূভুতিশূন্য ও মনুষ্যত্বহীন মানুষে। যার ফলশ্রুতিতে ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে হত্যা, ধর্ষণ, প্রতারণা, বিশ্বাস ঘাতকতা ও বৃদ্ধাশ্রমের সংখ্যা।
প্রশ্ন জাগতে পারে এগুলোর সাথে গল্প শোনার কি সম্পর্ক। হ্যা সম্পর্ক তো আছেই বটে।
আপনি যদি বাল্যকালেই তাদের মনে ঢুকিয়ে দিতে পারতেন তার পূর্বসূরিদের বীরত্বগাথা, সততা, ন্যায়পরায়ণতা, শ্রদ্ধা, সন্তুষ্টি, বাবা-মায়ের প্রতি কর্তব্য, মনুষ্যত্ব তাহলে হয়তোবা উল্লেখিত সামাজিক অবক্ষয় অনেকাংশেই রোধ হয়ে যেতো।
তাই প্রত্যেক বাবা মায়ের উচিত তাদের সন্তানদের গল্প শোনানো।
তাই বলে আগড়ম-বাগড়ম কেসসা-কাহিনি নয়। ভালো এবং শিক্ষনীয় গল্প হতে হবে। উৎসাহের গল্প হতে হবে। প্রেরণার গল্প হতে হবে৷ সেই সাথে আকর্ষণীয় ও হতে হবে।
তেমনই কিছু অসম্ভব সুন্দর গল্প নিয়ে শ্রদ্ধেয় মুহাম্মদ আতিক উল্লাহ ‘র গুরফাতাম মিন হায়াত বইটি রচিত।
Reviews
There are no reviews yet.