হযরত মাওলানা রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী [রাহ.] সম্পর্কে হযরত শাইখুল হাদীস যাকারিয়া [রাহ.] এর কোনও এক রচনায় পড়েছিলাম, একবার তিনি দুঃখ-ভারাক্রান্ত মনে বসে আছেন। মনে হচ্ছিল তার উপর বিষাদের পাহাড় ভেঙে পড়েছে। কোনো এক শিষ্য কাছে গিয়ে বলল, হযরত, আপনার চেহারায় কষ্টের ছাপ চোখে পড়ছে। কোনো সমস্যা নেই তো?
.
তিনি বললেন, হ্যাঁ, কিছুটা দুঃখ আছে।
জিজ্ঞেস করল, কিসের দুঃখ?
তখন দারুল উলূম দেওবন্দে দস্তারবন্দী জলসা চলছিল।
.
বললেন, আজ জলসায় কিছুটা ব্যস্ততা ছিল, যদ্দরুণ মসজিদে নামায পড়তে গিয়ে দেখি, নামায শুরু হয়ে গেছে, তাকবীরে উলা ধরতে পারিনি। তারপরে বললেন, পঁয়ত্রিশ বছরে আজ এই প্রথম তাকবীরে উলা ছুটে গেল।
.
ব্যাপারটা চিন্তা করে দেখুন, কেবল তাকবীরে উলা ছুটে যাওয়ার অর্থ তিনি কিরাআত শুনেছেন, রুকূ’ পেয়েছেন এবং প্রথম রাকআতও পেয়েছে, এমন কি বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী তাকবীরে উলাও পেয়েছেন, কিন্তু তা সত্ত্বেও অপর মত অনুসারে তাকবীরে উলা ছুটে যাওয়ার কারণে তাঁর এতটা দুঃখ ও এ পরিমাণ বেদনা।
.
অন্যদিকে আমাদের অবস্থাও দেখুন। জামাত ছুটে যায়। অধিকাংশ নামাযীরই রাকআত ছুটে যায় এবং সালামের পর অবশিষ্ট নামায একাকী পূর্ণ করে, কিন্তু এ জন্য কি আমাদের কোনো দুঃখ বোধ হয়?
.
এর কারণ এ ছাড়া আর কি যে, আমরা অনুভূতিহীন হয়ে গেছি। আল্লাহ তাআলা আমাদের প্রতি দয়া করুন। আমাদের এই জড়ত্ব দূর করে দিন।
—ইসলাম ও আমাদের জীবন: ৭/১৭১
—মুফতী মুহাম্মাদ তাকী উসমানী হাফি.
Reviews
There are no reviews yet.