সেপালকার ইন লাভ

বইটাতে মাত্র তিনটা গল্প। তবে এত এত তথ্য ও দৃশ্যপটের অবতারনা করা হয়েছে যা সত্যিই অবিশ্বাস্য৷

বইয়ের মূল ধর্তব্যের বিষয় ছিলো, ইউরোপ এবং আফ্রিকায় মুসলিম দেশগুলোর উপর ইয়াহুদি ও কতক খ্রীষ্টানদেশগুলো বর্বর ও নিপীড়নের খন্ডচিত্র। ইউরোপ ছিলো এক সময়কার ইসলামের স্বর্গরাজ্য। এখানেই পৃথিবীর বড় বড় ইসলামী মাদ্রাসাগুলো প্রতিষ্ঠিত ছিলো। ছিলো কুর’আনের তা’লিম, হাদিসে নববীর দারস, ছিলো ফিকহী আলোচনা, ছিলো ইতিহাসের পর্যালোচনা, সর্বোপরি একটা আদর্শ মুসলিম রাষ্ট্রের প্রায় পুরোটাই বিদ্যমান ছিলো৷ মুসলিম যুবকেরা ছিলো ইসলামি আদর্শে আদর্শিত। চরিত্রকে সুন্দর করতে তারা সচেষ্ট ছিলো।

বইটিতে স্থান পাওয়া তিনটি গল্পের প্রথমটিতে ছিলো চীনের উইঘুরের মুসলমানদের প্রতি নির্যাতন ও নিপীড়নের চিত্র। আহ “উইঘুর! নামটা শুনলেই মনটা হু হু করে উঠে৷ এক সময়ের স্বাধীন ‘উইঘুর’ রা আজ চরম লাঞ্চিত! আল্লাহ তুমি উইঘুরদের সাহায্য করো৷

তারপরের গল্পে ছিলো, ফিলিস্তিনের মুসলমানদের উপর ইহুদিদের অত্যাচার ও নির্বিচারে গনহত্যার দৃশ্য। যেটা এখনো চলমান। সেখানকার সেপালকার চার্চ কে কেন্দ্র করে এই বইয়ের নাম দেয়া হয়েছে।

সর্বশেষ কানাডার আধিবাসী ‘রেড ইন্ডিয়ান’ দের উপর ক্ষমতাশীলদের অত্যাচার। আহ! ‘রেড ইন্ডিয়ান’ খ্রীষ্টানরা যদিও অত্যাচার থেকে মুক্ত পেতো কিন্তু কোনো মুসলিমকে মুক্তি দেয়াই হতো না৷ ‘রেড ইন্ডিয়ান’দের নির্মূল করতে হীন চেষ্টা ছিলো না যা করা হয় নি। সর্বশেষ, ‘রেড ইন্ডিয়ান ‘দের দমন করতে ইন্ডিয়ান মায়েদের পেটে সন্তান থাকতেই শাসকগোষ্ঠি লিস্ট করে নিয়ে যেতো। “চার্চগুলো” ছিলো একেকটা জাহান্নাম। এখানে ৩ থেকে শুরু করে ১০/১১ বছরের বাচ্চারা থাকতো৷ এতো ছোট বাচ্চাদের সাথে কুকুরের মতো ব্যবহার করা হতো৷ তুচ্ছ বিষয়ে ছোট বাচ্চগুলোকে মাথার উপর থেকে আচাড় দিয়ে, দোতালা থেকে নিক্ষেপ করে মেরে পেলা হতো। কোনো বিচার নেই৷ কারন এগুলো সরকারি নির্দেশে হতো। ওইসব এলাকাগুলোতে এমন কিছু আল্লাহ’র বান্দা বান্দী ছিলেন, যারা এতসব অত্যাচারের মাঝেও দ্বীনের ঝান্ডাকে সমুন্নত রাখতে চেষ্টা করেছিলেন৷ বাকি ছিলো আল্লাহ’র সাহায্যটুকু। সেটাও আল্লাহ তাঁদের করেছিলেন।
একটু চিন্তার দুয়ারে আঘাত করুন তো। আমরা কি ইসলামের জন্য এত কষ্ট করেছি? কত্ত সহজে বাপ দাদার মিরাজি সম্পত্তির মতো ইসলামটাও পেয়েছি। তাই ইসলামের প্রতি আমাদের দরদটা নিতান্তই কম৷

আপনি বইটা একবার পড়া শুরু করলে স্কীপ করতে পারবেন না, ইন শা আল্লাহ।